যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এই প্রথম জজ হলেন মুসলিম হিজাবি তরুণী । আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ , ইতিহাসে এই সর্বপ্রথম নিউইয়র্কে মুসলিম হিজাবি তরুণী নারী জজ হয়েছে ,ইতিমধ্যে জানা গেছে তার নাম হলো রাফিয়া আরশাদ,যাকে নিয়ে প্রত্যেক মুসলিম বিশ্বের নেতারা গর্ভ করছে । এবং সকল মুসলিম দেশ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছে হিজাব পরা তরুণীকে বিশ্বের প্রত্যেক মুসলিম নেতারা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ ১৭ বছর আগে তার এক চাকরির ইন্টারভিউতে যাওয়ার আগে তার মা বলেছিল হিজাব খুলে যেতে , না হলে তাকে সিলেকশন করবে না, ওই কথার অনুযায়ী রাফিয়া আরশাদ বলেন ,আমার পর্দার জন্য আমাকে সিলেকশন না করলেও আমি কষ্ট পাবো না, কিন্তু দুনিয়ার সামরিক চাকরির জন্য এই ইসলামের মান ক্ষুন্ন হতে দিব না তোমরা যাই বলো না কেনো আমি হিজাব পড়ে যাব।
সেই ইন্টারভিউতে রাফিয়া আরশাদ বলেন হিসাবের জন্য সামান্য একটি আইন স্কুল স্কলারশিপ পাইনি কিন্তু তাতে কি হয়েছে ইসলামের মান ক্ষুন্ন হতে দেইনি .রাফিয়া আরশাদ আইন বিভাগের ছাত্রী ছিলেন তিনি আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন আর আজ ১৭ বছর আইন অভিজ্ঞতার পর সেই ইতিহাসের প্রথম মুসলিম হিজাবি নারী জজ পদে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাম্পের দেশে নিউইয়র্কে।
রাফিয়া রাফিয়া আরশাদের এর থেকে জানতে পারি ব্রিটেনের এত উন্নত দেশে বিচারক হতে পারব আমি জীবনে কল্পনাও করিনি কিনো দিন,আমার ইচ্ছে ছিল ভালো আইনজীবী হওয়ার বেশ কয়েক বছর কাজ করে যাচ্ছিলাম ,বিচারক হতে পেরে পরম আনন্দ উপভোগ করছি আমি, তিনি আমাদেরকে আরো জানান আমার আজকের যোগ্যতার চেয়ে বেশি পাওয়া আমি মনে করি প্রত্যেক নারীই তাদের যোগ্যতা যোগ্যতা কে কাজে লাগিয়ে লাগানোর দরকার বিশেষ করে মুসলিম নারীদের ।
জন্য খুবই জরুরী হিজাব পরিধান সম্পর্কে রাবিয়া রশিদ জানান ২০০১ সালে ২০০২ সালে তিনি যখন ইন সার্চ অফ ফুড স্কুল অফ ল এর স্কলারশিপ এর ইন্টারভিউ দিতে যান তখন তার পরিবারের এক সদস্য তাকে হিজাব না পড়ে ইন্টারভিউতে যেতে বলেন ।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের দেনমোহর ১০১ টাকা মাত্র !
ওই সদস্য তার আবার বলেন ওই ইন্টারভিউতে নয় বরং তুমি হিজাব পড়ে জীবনের সফলতা ধীরে ধীরে কমে যাবে কিন্তু , রাফিয়ার তার পরিবারের ওই ব্যক্তির পরামর্শ গ্রহণ করেননি তিনি বলেন আমি হিজাব পড়ে ইন্টারভিউতে যাব। আমার বিশ্বাস এবং সততার নিয়ে আমি ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি তোমরা দোয়া করো আমার জন্য তারা যদি আমাকে যোগ্য মনে করেন ফিরিয়ে দেবেনা , ইন শা আল্লাহ সেখানে ইন্টারভিউ দিতে আমি সফল হই ।
তারা আমাকে স্কলারশিপের জন্য মনোনীত করেন এবং হিজাব সহ তারা আমাকে এলাও করে আমার জীবনের প্রথম একটি সম্মানজনক বিশাল বড় সফল। আপনার জন্য রইল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন, রইলো শুভকামনা নিউইয়র্ক (রাফিয়া আরশাদ)
আপনার মতামত জানান