কাঁদলে ওজন কমে, এটা বিনোদন নয় কথা সত্যি!

কাঁদলে ওজন কমে, এটা বিনোদন নয় কথা সত্যি!

কান্নার  তীব্র আবেগের প্রাকৃতিক শারীর”বৃত্তীয় প্রকাশ থাকে। কাঁদলে ওজন কমে, এটা বিনোদন নয় কথা সত্যি! অনেকেই খুব সহজে ই কাঁদতে পারে , আবার অনেকে কাঁদতে পারেন না। মানুষের বেদনা”ময় আবেগ ও অনুভূতির কারণে মানুষ কাঁদে ফেলে , একে সাইকি’ক টিয়ার্স  বলা হয়। অর্থাৎ কান্না মানুষের মানসিক প্রকাশ।মানুষের বেদনাময় আবেগ-অনুভূতির কারণে মানুষ কাঁদে, যাসাইকিক টিয়ার্স  বলাহয়। অর্থাৎ কান্না মানুষের মানসিক প্রকাশ করে।

 

আর এই সাইকিক টিয়ার্স নিঃসরণের ফলে মস্তিষ্কের সংকেত থেকে শুরু করে হরমোন, এমনকি মেটাবলিক প্রক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ে। মার্কিন স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন ডটকমের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কান্নার কারণে শরীরের ওপর বিস্তৃতভাবে বা দীর্ঘ ,মেয়াদী প্রভাব পড়ে কি না, তা নিয়ে সম্প্রতি গবেষ”কেরা বেশ কৌতূহলী হয়ে উঠেছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাঁদলে কিছু ক্যালোরি পোড়ে, টক্সিন নির্গত হয় এবং হরমোনে ভার সাম্য আনে। এমনকি ওজন কমাতে সাহায্য করে কান্না।প্রেমপ্রাপ্তি, বিচ্ছেদ, বিষণ্ণতা সহ অনেক কারণেই মানুষ কাঁদে। আপনি যখন তীব্র আবেগ অনুভব করছেন, তখন আপনি ওজন হ্রাস লক্ষ করতে পারেন, যা কান্নার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে। কান্নায় কিছু ক্যালোরি পোড়ে।

 

মনে করা হয়, কাঁদলে প্রতি মিনিটে ১.৩ ক্যালোরি খরচ হয়। হাসলেও একই পরিমাণ ক্যালোরি খরচ হয়। তার মানে এই দাঁড়াচ্ছে, ২০ মিনিট কাঁদলে ২৬ ক্যালোরির বেশি খরচ হয়।কান্নায় বেশি পরিমাণে ক্যালোরি খরচ না হলেও সাইকিক টিয়ার্স নিঃসরণের ফলে অন্যান্য স্বাস্থ্যগত উপকারিতা রয়েছে।

হরমোনের ভার সাম্য আনয়নে সাহায্য করে কান্না এবং মেটাবলিজম বা বিপাক”ক্রিয়া ঠিক রেখে ওজন কমতে সাহায্য করে। কান্নার পর মানুষ স্বস্তি পায়। গবেষকদের মত, কান্নার ফলে মানসিক চাপ কমে। কান্নার পর শরীর ও মস্তিষ্ক শান্ত হয়।দীর্ঘ সময় কান্নার ফলে শরীরে অক্সিটোসিন ও এন্ডরফিনস নামে হরমোন উৎপন্ন হয়।

আরও পড়ুনঃকারাগারে বন্দী মাওলানা দেলােয়ার হােসাইন সাঈদী আবারও ওয়াজ করতে চান !

এই প্রাকৃ’তিক রাসায়নিক মস্তিষ্ককে স্বস্তি ও শূন্যতার অনুভূতি দেয়। এই হরমোন গুলো ভালোবাসা ও আনন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত । এটা শুধু মানসিক যন্ত্রণা থেকে তা মুক্তি দেয় না , শারীরিক যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয়।এই প্রাকৃতিক রাসায়নিক মস্তিষ্ককে স্বস্তি ও শূন্যতার অনুভূতি দেয়। এই হরমোনগুলো ভালোবাসা ও আনন্দের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এটা শুধু মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেয় না, শারীরি”ক  যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি দেয়।

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme