জিয়াউর রহমান নয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা’পত্র পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান

জিয়াউর রহমান নয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা’পত্র পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান

জিয়াউর রহমান নয়, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা'পত্র পাঠ করেছিলেন এম এ হান্নান

বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘােষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম এম এ হান্নান পাঠ করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘােষণাটি পাঠ করানাের সিদ্ধান্ত নেন। এ জন্য প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যােগাযােগ করা হয়।

তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বােয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘােষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেয়া হয়। বিশ্ব বেতার দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বেতার সদর দপ্তর আয়ােজিত আলােচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে বেতারের ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলেও মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, সচিব খাজা মিয়া এবং বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক আহমেদ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যারা স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনেছেন, তারা জানেন মুক্তিকামী এদেশের

মানুষের মাঝে কি উদ্যম-উদ্দীপনা জাগাতাে সে সময়ের অনুষ্ঠান। আর মানুষ কি উন্মুখ হয়ে থাকতাে তা শােনার জন্য। ‘বঙ্গবন্ধুর দেয়া স্বাধীনতার ঘােষণা ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে প্রথম এম এ হান্নান পাঠ করেন’ বলেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, পরদিন ২৭ মার্চ চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতারা সেনাবাহিনীর একজন অফিসারকে দিয়ে ঘােষণাটি পাঠ করানাের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথমে মেজর রফিকের সঙ্গে যােগাযােগ করা হয়। তিনি রণাঙ্গনে ব্যস্ত থাকায় পরে কালুরঘাট অতিক্রম করে পটিয়ার দিকে যাত্রাকারী মেজর জিয়াউর রহমানকে বােয়ালখালী থেকে খুঁজে এনে ঘােষণাটি পাঠের দায়িত্ব দেয়া হয়। প্রথমে তিনি ভুল পড়েছিলেন, পরেরবার শুদ্ধ করে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘােষণাটি পড়েন। নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাবার জন্য এটি শােনানাে প্রয়ােজন।

আরও পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার অবদান কেউ অস্বীকার করবে ভাবতেও পারে নাই

শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামেই নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনেও বেতার তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে বলেন ড. হাছান। প্রান্তিক জনগােষ্ঠীসহ সারা দেশের মানুষের কাছে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতির নানা বিষয় বেতার পৌঁছে দিচ্ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে মাঝি-মাল্লাদের কাছে বেতারই সম্বল,পাহাড়ের চূড়াতেও বেতারই শােনা যায়। করােনা পরিস্থিতি মােকাবিলাতে মানুষকে স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসহ বিভিন্ন জরুরি বিষয়ে বার্তা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বাংলাদেশ বেতার।।

এবছর ইউনেস্কো ঘােষিত দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘নতুন বিশ্ব নতুন বেতার উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী জানান, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশ বেতার এখন মােবাইল অ্যাপসে শােনা যায়। এ পর্যন্ত দেশের ৮টি বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান অ্যাপসের আওতায় এসেছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেশব্যাপী সম্প্রচার শুরু হয়েছে। এসময় জিয়াউর রহমানের খেতাব প্রত্যাহার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের সহযােগী হিসেবে কাজ করেছেন।

তার কাছে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অফিসার পাকিস্তানের পক্ষে তার ভূমিকার জন্য প্রশংসা করে চিঠি লিখেছিল এবং জিয়া স্বাধীনতার বিরােধিতাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন। যে শাহ আজিজুর রহমান পাকিস্তানের ডেপুটি লিডার হিসেবে জাতিসংঘে পাকিস্তানের পক্ষে ওকালতি করেছেন, তাকে প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন, যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযােগ করে দিয়েছেন। সুতরাং ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে জিয়াউর রহমান মুক্তিযােদ্ধার ছদ্মাবরণে প্রকৃতপক্ষে পাকিস্তানের সহযােগী হিসেবে কাজ করেছিলেন।

তার খেতাব বাতিল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, তথ্য অধিকার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেতার অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। | তথ্য-সচিব খাজা মিয়া দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে দেশের মানুষের কল্যাণের ব্রত নিয়ে বেতারের কর্মকর্তাদের কাজ করার জন্য আহবান জানান। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শব্দসৈনিকদের মধ্যে মনােরঞ্জন ঘােষাল,

মাে. রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গণযােগাযােগ অধিদফতরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, জাতীয় গণমাধ্যমে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালকদের মধ্যে নেছার উদ্দীন ভূইয়া, হােসনে আরা তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সালাহউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক কামাল আহমেদ, উপ-মহাপরিচালক বার্তা এস এম জাহীদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যােগ দেন।

প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, গণযােগাযােগ অধিদফতরের মহাপরিচালক বিধান চন্দ্র কর্মকার, জাতীয় গণমাধ্যমে ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহীন ইসলাম, বাংলাদেশ বেতারের সাবেক মহাপরিচালকদের মধ্যে নেছার উদ্দীন ভূইয়া, হােসনে আরা তালুকদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালক সালাহউদ্দীন আহমেদ, ঢাকা কেন্দ্রের পরিচালক কামাল আহমেদ, উপ-মহাপরিচালক বার্তা এস এম জাহীদ প্রমুখ অনুষ্ঠানে যােগ দেন।

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme