ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলে, লালবাগ থানায় যে শিক্ষার্থী মামলা করেছিলেন,কোতোয়ালি থানার ভিপি নুর সহ ৬ জনের বিরুদ্ধে তিনিই করেছেন , তবে ঘটনা দুটিই ভিন্ন। তিনি আরও বলেন কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলার আসামি দের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধ;র্ষণ ,ধ;র্ষণে সহযোগিতা এবং পরে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চরিত্র হওননের অভিযোগ আনা হয়েছে ।
কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন কারীদের প্ল্যাট ফরম বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে ২৮ এই মামলার ১-নম্বর আসামি করা হয়েছে বলেন তিনি।
পরিষদ আহ্বায়ক হাসান আল মামুন কে এই মামলার দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে, তাকে লালবাগ মামলার প্রধান আসামি হিসাবে দেখানো হয়েছিল। আর লালবাগের মতো কোতোয়ালি ও সাবেক ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর নাম আসামির তালিকায় তৃতীয় স্থান পেয়েছে। ভিপি নুরুর নাম।
ভিপি নুর হল ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক। অন্য তিন জন আসামি হলো পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক ইফুল ইসলাম ২৮ ঢাকা-বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ২৫ এবং কর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ২৩ আবদুল্লাহ হিল বাকি
লালবাগ থানায় মামলা এজাহারে বাদী বলেছে একই বিভাগে পড়া এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ এর কাজে থাকার কারনে হাসান আল মামুনের সঙ্গে তার ‘প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে, এর সুযোগ নিয়ে মামুন চলতি বছরে ৩ জানুয়ারি তার লালবাগের বাসায় নিয়ে তাকে ধ;র্ষণ করে এ কথা বলে।
কোতোয়ালি থানায় মামলার প্রতিবেদন অনুসারে, শিক্ষার্থী ধর্ষণ ঘটনার পরে অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং পরে সোহরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুস্থ হওয়ার পরে ওই যুবতী মামুনকে তার সাথে বিয়ে করতে বলে। তারপরে সোহাগ মেয়েটিকে সহযোগিতার আশ্বাস দেয় এবং মামুন সাথে দেখা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। সে মেয়েটিকে সদরঘাট দিয়ে লঞ্চ করে চাঁদপুরে নিয়ে যায়। কিন্তু চাঁদপুর মামুন না পেয়ে যুবতী সন্দেহজনক হয়ে ওঠে। সেখান থেকে ফেরার পথে সোহাগ তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মেয়েটির ঘটনা নিরসনের পরিবর্তে ভিপি নুরের সাথে দেখা হয়েছিল। ভিপি নূর প্রথমে তাকে একটি বন্দোবস্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন এবং তারপরে তাকে আরও দূরে যেতে নিষেধ করে প্রচার চালিয়ে তাকে কড়া হুমকি দিয়েছিলেন।
এরেই মধ্যে মামলার বাকি তিন আসাম এর নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে ঐতরুণীর বিরুদ্ধে কুত্সা রটাতে শুরু করেন বলে, অভিযোগ করা হয়েছেন মামলায়। লালবাগ থানায় (ধর্ষণের) মামলা হওয়ার পর তা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে সোমবার রাতে বিক্ষোভ করছিলো নুরের সংগঠন বাংলাদেশ-ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ-পরিষদ।
পুলিশ সেখান থেকে নুর ওতার সাত সহযোগীকে ধরে নিয়ে গেলেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ সময় ভিপি নুরসহ অন্তত ১০-জন নেতাকর্মী পুলিশ ও সাদা পোশাক-ধারী কিছু ব্যক্তির নির্যাতনে আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি ।
এই দিকে নুরের বিরুদ্ধে হওয়া মামলাকে ‘মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব-অধিকার-পরিষদ। দাবি আদায়ের গতকাল মঙ্গলবার,জাতীয় প্রেসক্লাব ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে।
সমাবেশে ডাকসুর সাবেক সমাজসে-বাবিষয়ক সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন , হামলা_মামলা করে তাদের দাবিয়ে রাখা যাবে না । পরিষদের যুগ্মআহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, সরকার যদি তাদের দমন করে ফেলে, তাহলে এই সোনার বাংলাদেশে আর কেউ কখনো প্রতিবাদ করতে পারবে না ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন যে মেয়েটির দায়ের করা মামলার আইন অনুযায়ী ভিপি নুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।গতকাল রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে এক অনুষ্ঠানের পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।।
মামলার প্রতিবেদন ১৩ অক্টোবর,কোতোয়ালি থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা ওনারী নির্যাতন-দমন আইনে ভিপি নুরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে-দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৩ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আপনার মতামত জানান