মৌলবাদীদের আমাদের দেশে দরকার নেই । আমার বাবার জানাজা (আমি নিজেই) পড়াতে পারবাে। আমি চারবার কুরআন খতম করেছি । নিয়মিত নামাজ পড়ি । সুতরাং দেশের সংবিধান মেনেই আপনাকে এদেশে থাকতে হবে আমাদের দেশে । যদি সংবিধান না মানেন তাহলে আপনাদের জন্য তিনটি অপশন। এক উল্টাপাল্টা করবা হাত ভেঙে দেব ,জেল খাটতে হবে। দুই, একেবারে চুপ করে থাকবেন , দেশের স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু ইতিহাস নিয়ে কোনাে প্রশ্ন করতে পারবেন না আপনারা । তিন , আপনার যদি বাংলাদেশ পছন্দ না হয়, তাহলে ইউ আর ওয়েলকাম টু গাে ইউর পেয়ারা পাকিস্তানে ।
বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় (কুষ্টিয়ার) কুমার খালীর কয়া মহাবিদ্যালয়ে কুমারখালী নাগরিক পরিষদের ব্যানারে আয়ােজিত এ সমাবেশে এইসব কথা বলে কুষ্টিয়ার (পুলিশ সুপার) এসপি এস এম তানভীর আরাফাত।
তিনি আরো বলেন, যারা যে উদ্দেশ্যে এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকুক না কেন , প্রত্যেকে এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে একথা জানায়। অন্য দল থেকে অনুপ্রবেশকারী কাউকে দলের পদ দেওয়া হলে যেসব নেতা পদ দেবেন, তাদের বিরুদ্ধেও সংগঠন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অসাম্প্রদায়িক বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে কোনাে মৌলবাদী বা দুষ্কৃতকারীর ঠাঁই হবে না। কুমারখালী নাগরিক পরিষদের ব্যানারে প্রতিবাদ সভায় (প্রধান অতিথি) ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ (কুমারখালী খােকসা) আসনের সাংসদ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাফ। বেলা ১১টায় কুমারখালী নাগরিক পরিষদের সভাপতি আকরাম হােসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভা শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সাংসদ সেলিম আলতাফ। এ ছাড়া সেখানে কুমারখালী পৌরসভার মেয়র শামসুজ্জামান, (মুক্তিযােদ্ধা) এটিএম আবুল মনসুর । শিলাইদহ ইউনিয়ন পরিষদের (চেয়ারম্যান) সালাউদ্দিন খান, কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মনির হাসান বক্তব্য দেন।
তবে কয়া (ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান) ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলামকে । প্রতিবাদ সভায় দেখা যায়নি। স্থানীয় লােকজন বলছেন, কয়া ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ও ভাস্কর্য ভাঙচুর মামলার আসামি (আনিচুর রহমান) তার সঙ্গে রাজনীতি করেন। ঘটনার দিন সকালে জিয়াউল ইসলাম যখন গণমাধ্যমে বক্তব্য দেন, তখনাে আনিচুরকে তার সঙ্গে দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামে বাঘা যতীনের ভাস্কর্যটি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে কয়া কলেজের (অধ্যক্ষ) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আই-নে মামলা করেন । প্রাথমিক তদন্তে (পুলিশ) নিশ্চিত হয়েছে, আনিচুর রহমানের (নেতৃত্বের) কয়েকজন যুবক সরাসরি ভাস্কর্য ভাঙচুরে-অংশ নিয়েছেন। কয়া মহাবিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে এ ঘটনা ঘটানাে হয়।
আপনার মতামত জানান