সংবাদ শিরোনামঃ
প্রতিদানের আশায় সহযোগিতা করা ও খোঁটা দেওয়া তা কবিরা গুনাহ। ইরানের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। ঢাকা-সাভারগামী ১৭টি বাস আটক জাবি ছাত্রীকে হেনস্তা মালয়েশিয়ায় ঈদের ‘ছুটিতে’ ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘট’নায় ৪.প্রবাসী বাংলাদেশি নিহতও ৪.জন আহত হয়েছে । রমজানকে স্বাগত জানাল গাজা শোক-ক্ষুধা-রক্ত দিয়ে! মানুষের জন্য আল্লাহর পাঠানো তিন উপদেশ ! মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাকের ১২ বছরের কারাদণ্ড। উত্তরায় গার্ডার পরে প্রাইভেট কার পিষ্ট নিহত ৫ জন। আজকে স্বর্ণের দাম আরও বাড়লো। সিলেট,সুনামগঞ্জ সহ বন্যার্তদের জন্য দেড় কোটি টাকা তোলা সেই গায়ককে পুলিশের ধমক
আল আকসা মসজিদে রমজানে জুম’আ-তে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লীর জামাত

আল আকসা মসজিদে রমজানে জুম’আ-তে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লীর জামাত

আল আকসা মসজিদে রমজানে জুম'আ-তে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লীর জামাত

9সআল আকসা মসজিদে রমজানে জুম’আ-তে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লীর জামাত! মুসলিমদের কাছে আল আকসা মসজিদ নামে পরিচিত এই স্থাপনাটি ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। আল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস হচ্ছে- ইসলামের প্রথম কেবলা এবং মক্কা ও মদিনার পর তৃতীয় পবিত্র স্থান। আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড় কারণ হলো প্রথম থেকে হিজরত পরবর্তী ১৭ মাস পর্যন্ত মুসলমানরা আল আকসা মসজিদের দিকে মুখ করে নামাজ আদায় করতেন। পরবর্তীতে মহান আল্লাহর নির্দেশে মুসলমানদের কেবলা মক্কার দিকে পরিবর্তিত হয়।

এ পবিত্র মসজিদ থেকেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) উর্ধাকাশে তথা মেরাজ গমন করেছিলেন। নবী করীম (সা.) মিরাজ গমনের সময় আল আকসায় অতীতের সব নবী-রাসূলের জামাতে ইমাম হয়ে দু’রাকাত নামাজ আদায় করেন। এ মসজিদের নির্মাণ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। একদল ইতিহাসবিদ মনে করেন, আল আকসা মসজিদ মূলত হজরত আদম (আঃ) -এর মাধ্যমেই তৈরি হয়, যা পরবর্তী নবীরা পুনর্নির্মাণ ও সংস্কার করেন। হজরত ইবরাহিম (আঃ) কর্তৃক কাবা গৃহ নির্মাণের ৪০ বছর পর হজরত ইয়াকুব (আঃ) আল আকসা মসজিদ নির্মাণ করেন। এরপর খ্রিস্টপূর্ব ১০০৪ সালে হজরত সোলায়মান (আঃ) এই মসজিদটির পূণর্নির্মাণ করেন। বিভিন্ন শাসকের সময় মসজিদে অতিরিক্ত অংশ যোগ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গম্বুজ, আঙ্গিনা, মিম্বর, মেহরাব ও অভ্যন্তরীণ কাঠামো।

আরও পড়ুনঃ আমেরিকার একটি অঙ্গরাজ্যে খ্রিস্টান ভদ্রমহিলার ইসলাম গ্রহণ!

৬৩৮ খ্রিস্টাব্দে সমগ্র বায়তুল মোকাদ্দাস এলাকা মুসলমানদের দখলে আসার পর মুসলমান শাসকরা কয়েকবার এ মসজিদের সংস্কার করেন। কিন্তু ১০৯৬ সালে খ্রিস্টান ক্রুসেডাররা ফিলিস্তিন দখল করে নেওয়ার পর আল আকসা মসজিদের ব্যাপক পরিবর্তন করে একে গীর্জায় পরিণত করে। তারা মসজিদের গম্বুজের উপরে ক্রুশ স্থাপন করে এর নাম রাখে – ‘সুলাইমানি উপাসনালয়’। এরপর ১১৮৭ খ্রিস্টাব্দে মুসলিম সেনাপতি গাজী সালাহউদ্দিন আইয়ুবী জেরুজালেম অধিকার করার পর পূর্বের নকশা অনুযায়ী আল আকসা মসজিদের পুণর্নির্মাণ করেন।

মসজিদটিতে ২টি বড় এবং ১০টি ছোট গম্বুজ রয়েছে। এ মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন পর্যায়ে স্বর্ণ, সিসা বা লিড এবং মার্বেলসহ বিভিন্ন প্রকার পাথর ব্যবহৃত হয়েছে। ঐতিহাসিক এ মসজিদটির আয়তন সাড়ে তিন হাজার বর্গমিটার। এ মসজিদে পাঁচ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন।

বর্তমানে ইহুদিবাদী ইসরাইল ঐতিহাসিক মসজিদটি দখল করে রেখেছে। ১৯৪৮ সালের ১৫ মে বেলফোর ঘোষণার মাধ্যমে ফিলিস্তিনে অবৈধ ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভের পর বায়তুল মোকাদ্দাস মুসলমানদের হস্তচ্যুত হয়ে যায়। সেই থেকে বায়তুল মোকাদ্দাস তাদের দখলে রয়েছে। ১৯৬৯ সালে তারা একবার আল আকসা মসজিদে অগ্নিসংযোগও করেছিল।

ঐতিহাসিকভাবেই এটি মুসলমানদের পবিত্র স্থান। মুসলমানরা তাদের পবিত্র ভূমি, প্রথম কিবলা ও তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ দ্রুত ফিরে পাক- শান্তিপ্রিয় বিশ্বমানবতার এটা একান্ত প্রত্যাশা।

(গত ১৬ এপ্রিল শুক্রবার আল আকসা মসজিদে রমজানের প্রথম জুম’আ-তে প্রায় ৭০ হাজার মুসল্লী জামাত)

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বশেষ সংবাদ

সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme