আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ খাদ্য অধিদফতর

আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ খাদ্য অধিদফতর

আমন মৌসুমে ধান-চাল সংগ্রহে ব্যর্থ খাদ্য অধিদফতর

খাদ্য শষ্যের ভান্ডার হিসেবে পরিচিত উত্তরের জেলা দিনাজপুর। দিনাজপুরের সর্ব দক্ষিনে অবস্থিত হাকিমপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ এবং ঘােড়াঘাট উপজেলা। এবারে আমন মৌসুমে খাদ্য বিভাগের ধান-চাল সংগ্রহের অভিযান পুরােপুরি ব্যর্থ হয়েছে।। ধান-চাল সংগ্রহে’র শেষ তারিখ ছিলাে চলতি বছরের ২৮ ‘ফেব্রুয়ারী’ পর্যন্ত। তবে খাদ্য অধি”দপ্তর ইতি’মধ্যে ১৫ মার্চ ‘পর্যন্ত’ সময়”সীমা বৃদ্ধি করেছেন । চার’টি উপজেলায় কিছু ধান-চাল ‘সংগ্রহ’ হলেও হাকিমপুর এবং বিরামপুর উপজেলা লক্ষ্য মাত্রার ধারের কাছেও যেতে পারেনি।

খােলা বাজারে ধান চালের দাম বৃদ্ধি থাকায় এই চার উপজেলার খাদ্য বিভাগ’কে কৃষকরা এবং মিলাররাও চাল দেননি বলে অভিযােগ খাদ্য বিভাগের।হাকিমপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার যােসেফ হাসদা জানান, এবার আমন মৌসুমে হাকিমপুর উপজেলার জন্য আমন চাল (সিদ্ধ) ২৭৯ মেট্রিক টন, আমন চাল (আতপ) ৫৩ মেট্রিক টন এবং আমন ধান ৩৮০ মেট্রিক টন ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয় খাদ্য বিভাগ। কিন্তু এখন ‘পর্যন্ত’ খাদ্য বিভাগে’র নিবন্ধি’ত ১২ মিলের মধ্যে ৭টিমিল তাদের চাল দেওয়ার লক্ষ্য মাত্রাপূরণ করতে পেরেছেন।

আরও পড়ুনঃ গাজর চাষে বিপ্লব, দ্বিগুণ লাভে গাজর বিক্রয় করছেন চাষিরা

এখন পর্য’ন্ত এই উপজেলা”তে আমন চাল (সিদ্ধ) ৬৫ মেট্রিকটন ৮৫০ কেজি, আ’ম’ন চাল (আতপ) ২৭ মেট্রিক টন ৫০ কেজি এবং আমন ধান ১ মেট্রিক টন কিনতে সক্ষম হয়েছে। খােলা বাজারের ধা’ন চালের দাম বেশি থাকার কারনে কৃষক”রা খাদ্য। বিভাগ”কে ধান-চাল দিচ্ছেন না বলে ও জানান তিনি ।বিরাম’পুর উপ’জেলার খাদ্য কর্মক’র্তা রবিউল আলম্‌ জানান, আমন মৌসুমে এই উপজেলাতে আমন চালের (সিদ্ধ) লক্ষ্য মাত্রা ছিলাে ১ হাজার ৯শ ৪৪ মেট্রিক টন এর বিপরীতে অর্জন হয়েছে ১২ মেট্রিক টন ১৫০ কেজি, আমন চাল (আতপ) লক্ষ্য মাত্রা ছিলাে।

১১,মেট্রিক টন এর বিপরী’তে ২৯ মেট্রিক টন ৩৫০ কেজি অর্জন হয়েছে এবং আমন ধা’নের লক্ষ্য মাত্রা ছিলাে ৮৩২ মেট্রিকটন এর বিপরী’তে অর্জন হয়েছে ৮০০ কেজি। এই উপজেলা’তে মােট ১৭ টি মিল চুক্তি”বদ্ধ করেন এর মধ্যে একটি আতপ ১৭টি মিলের মধ্যে ১৪টি মিল চাল দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবে সময়সীমা বৃদ্ধির কারনে ব্যর্থ মিলগুলাে চাল দিবেন বলে আসা করেন এই কর্মকর্তা।নবাবগঞ্জ উপজেলার খাদ্য কর্মক’র্তা হালিমুর রহমান আরও জানায় , আমন মৌসুমে ‘নবাবগঞ্জ’ উপ’জেলার জন্য আমন ধান (‘সিদ্ধ’) ১হাজার ৭শ৫৯ মেট্রিকটন এবং আমন ধান ৯৫৯ ‘মেট্রিকটন’ ক্রয়ের লক্ষ্য’মাত্রা ‘নির্ধারণ’ করে দেয় খা’দ্য বিভাগ ।

| সেই সাথে ২৭টি মিলের সাথে চুক্তি’বদ্ধ করেন খাদ্য বিভাগ। তার মধ্যে ২২টি মিল মালিক তাদের ল’ক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে সক্ষম হলেও ৫টি মিল তাদের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করতে পারেনি। এই উপজেলাতে আমন মৌসুমে চাল সংগ্রহ হয়েছে ৪৫৯ | মেট্রিক টন ৭৭০ কেজি, ধান ১২৮ মেট্রিক টন ৫২০ কেজি। তিনি আরাে জানান, খাদ্য বিভাগের নির্ধারণ করা দামের চেয়ে বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় কৃষকরা এবার ধান বিক্রয় করতে রাজি হয়নি।

ঘােড়াঘাট উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আতােয়ার হােসেন জানান, এবার আমন মৌসুমে ঘােড়াঘাট উপজেলা’তে ধান-চাল সংগ্রহের লক্ষ্য মাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। এই উপজেলাতে আমন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ছিলাে ৫১৯ মেট্রিকটন তার। বিপরী’তে অর্জন হয়েছে ৪৩৫ মেট্রিক টন, আমন চাল ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা ছিলাে।

২২৫ ‘মেট্রিকটন’ এর বিপরী’তে অর্জন হয়েছে ৮৫ মেট্রিকটন ৭২০ কেজি এবং আমন চাল (আতপ) ৬ মেট্রিকটন ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে নিবন্ধিত মিলার সংখ্যা ১৭র্টি এর মধ্যে ১৬টি আমন সিদ্ধ চালের এবং ১টি আতপ চালের জন্য। তার মধ্যে ৬টি মিলার চাল দিতে পারেনি। তিনিও জানান, ধান-চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ধান-চাল বিক্রি করেনি।

৬ মেট্রিক টন ক্রয় করতে সক্ষম হয়েছে। খাদ্য বিভাগ থেকে নি’বন্ধিত মিলার সংখ্যা ১৭র্টি এর মধ্যে ১৬টি আমন সিদ্ধ চালের এবং ১টি আতপ চালের জন্য। তার মধ্যে ৬র্টি মিলার চাল দিতে পারেনি। তিনি জানান, ধান-চালের বাজারমূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরাও ধান-চাল বিক্রি করেনি।

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme