কোথায় যাচ্ছে মুসলিম নারী সমাজ? নিজর গায়ে হলুদে কন্যা নিজের বন্ধুদের নিয়ে বাইক শো করেছে যশোর জেলায় বুকে,
ঘটনাটি ঘটেছে তার নিজের খুলনার বিভাগের যশোর জেলায়। মেয়েকে সবাই (ড্রিমি আপু) নাম বলে ডাকে। গত দু’দিন তিন দিন আগে ওঁ মেয়ের গায়ে হলুদের দিন ছিল,সেদিন কন্যা নিজে মোটর বাইক চালিয়ে যায়, ১৭/১৮ জোড়ায় জোড়ায় যশোর নিজ শহর প্রদক্ষিণ করে।
মুসলিম সমাজে এমন রীতিনীতি সত্যি দুঃখজনক! আজ সে করেছে আগামীকাল আরেকজন করবে। মনে আছে আপনাদের গত ১ বছর আগে একজন নারী বিয়েতে বরকে আনতে গিয়েছিল বরের বাড়ি এবং বরকে নিয়েও আসে এই দিন।
ঘটনাটি নিয়ে হয়েছিল ব্যাপক সমালোচনা।
এসব ঘটনায় যখন ধর্ম প্রাণ মুসলিমরা বাধা দিতে যাবে তখনই নারী বাদীরা, নারী অধিকার বলে তাদের উস্কানি দিবে, আর এইসব অবুঝ অবাধ্য মেয়েরা হয়ে উঠবে নাস্তিক। তাই আসুন আমরা এরকম সকল ঘটনার প্রতিবাদ করি।সোচ্চার হই। মুসলিম সমাজ যেন অধঃপতনে না যায় সেদিকে খেয়াল করি।(মাসুম বিল্লাহ সানি)
যশোরের ফারহানা নিজের গায়ে হলুদ ও বিয়ে অনুষ্ঠানে বাইক মোহড়ায় গেলেন । ঘন্টায় ১টি দাম্পত্যের বিচ্ছেদ হচ্ছে কেবল ঢাকা শহরে, যেখানে ৭০% ডিভোর্স মেয়েরাই দিচ্ছে । সমাজ কোন দিকে যাচ্ছে – প্রজন্মকে আমরা কি শিক্ষা দিচ্ছি, যে স্বাধীনতা (অন্ধকারে) ঠেলে দিচ্ছে তারই চর্চা চলছে। নেপোলিয়নে এই বিখ্যাত উক্তি সত্যিই চির কাল তাকে বি বে কে বাচিয়ে রাখবে।
“বদলে যাও বদলে পেলো”আসলে সব কিছু বদলাতে নেই । হায়নার পেট থেকে কখনো কস্তুরি আশা করা যায় না । এটাই ছিল আমাদের বিয়ের ঐতিহ্য। পালকি চেঞ্জ হয়ে কণে এখন বাইক চালিয়ে বিয়ে করে। বিয়েতে বাঙালি কণের লজ্জার কথা বাদই দেন, বররাই লজ্জা পেত, মুখে রুমাল ধরে বিয়ে করতে যেতো। আর এখনকার অনেক বাঙালি মেয়ের ড্রিম থাকে লজ্জার মাথা খেয়ে নিজের বিয়েতে সবার সামনে নাচবে,বাইক চালিয়ে বিয়ে করতে যাবে!!
যেখানে সকল সভ্য,শিক্ষিত জাতি তাদের নিজেদের সংস্কৃতি রক্ষায় সোচ্চার। সেখানে আমরা বাঙালি জাতি ভিন দেশী সংস্কৃতি গ্রহণ করতে সোচ্চার!! এভাবেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বাঙালি জাতির ঐতিহ্য ও মূল্যবান সংস্কৃতি। অথচ একটি জাতির ধারক ও বাহক হচ্ছে তাদের সংস্কৃতি!!
মেডাম আপনার কবে হবে?? জনৈক ইউরোপীয় সাংবাদিক, আড়ম্বরপূর্ণ বিবাহ অনুষ্ঠানে নবদম্পতিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন – মেডাম আপনাদের ডিভোর্স কবে হবে?
অনাকাঙ্ক্ষিত বিব্রতকর প্রশ্নবাণে হতবিহ্বল নবদম্পতি ও অতিথিবৃন্দু। অতিথিপরায়ণ মেহমান-নেওয়াজ অভিভাবক উল্টো সাংবাদিককে জিজ্ঞেস করলেন -শুভ মুহূর্তে অশুভ অশালীন প্রশ্ন কোন আক্কেলে করলেন?
সাংবাদিক বিনয়ের সাথে বলেছিলেন – আপনাদের মতো আলট্রা মর্ডানদের অতি আড়ম্বরপূর্ণ বিয়ের দাম্পত্যজীবন ক্ষণস্থায়ী ও অনাড়ম্বর ভাবে ডিভোর্স হয়ে থাকে। তাই অগ্রিম জানতে চাইলাম। আমি কিন্ত হোন্ডা ওয়ালী নবদম্পতির চিরস্থায়ী সুখ সমৃদ্ধি শান্তিপূর্ণ সুদীর্ঘ দাম্পত্যজীবন কামনা করছি। আল্লাহ সহায় হোন। আমিন।
আপনার মতামত জানান