একজন সন্তানকে স্বপ্ন দেখাতে,তার সকল স্বপ্ন পূরণ করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা মায়ের। আপনি কি মনে করতে পারেন সেই ছোট্টবেলা থেকে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মমতাময়ী মা আমাদের মানুষ করার জন্য,শিক্ষিত করার জন্য,ছোট্ট ছোট্ট চাহিদা পূরণ করার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে।
মনে করতে পারেন তখনকার সেই টানাটানির সংসারে মায়ের কাছে যা চেয়েছেন বা চাননি তা ম্যাজিকের মতো এনে কীভাবে হাজির করেছে। আমাদের সব শখ পূরন করেছে। আপনি অবাক হয়েছেন কিনতু হয়তো তখন জানতে চাননি।
বিশ্বাস করেন,আপনার মায়ের এখনো প্রতিটি সেকেন্ড, মিনিট, ঘন্টা, প্রতিটি দিন কাটে আপনার সুখ -দু:খের কথা ভেবেই।আসলে আমরা সময়ের সাথে সাথে ছেলেবেলাকে ভুলে যাই। ব্যস্ত থাকি নিজেদের যাপিত জীবন নিয়ে, নিজেদের সন্তানদের নিয়ে।
হয়তো একই কষ্ট আমরা নিজেরাও নিজেদের সন্তানদের জন্য করি,ধরনটা হয়তো এক নয়। কিন্তু ভুলে যাই মায়ের কষ্টের কথা যিনি আমাদের লালন পালনের জন্য তার জীবনের পুরো সময়টা ব্যয় করেছেন।প্রতিদিন কত শত কষ্ট করেছেন, জলাঞ্জলি দিয়েছেন নিজের আনন্দ-শখকে।
আজকাল মায়েদের কাছে কিছুক্ষণ বসে কথা বলার সময় কজনের ই বা হয়।তবে একটু খেয়াল রাখবেন তাদের যেনো কখনো নিজেকে একা মনে না হয়, নিজেকে অন্যের বোঝা মনে না হয়। তারা যেন অমনভাবেই হাসে, যেমনি করে আপনার শিশু সন্তান এখন হাসে,
তারা যেনো এমন আদর-ভালোবাসা পায় যেমন আদর-ভালোবাসা পায় আপনার সন্তান। মা কে যেনো আপনি এমন ভাবে আগলে রাখেন, যেমন ভাবে আগলে রাখেন আপনার সন্তানকে। মায়ের ঋণ কোনভাবেই শোধ করা যায়না।
কিন্তু মা যেনো সন্তানের কোনো কথায়,কোনো কাজে কোনোভাবে কষ্ট না পায় সেটা দেখা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।। আজ মা দিবস নয়,ছোটোবেলার কিছু কথা মনে হলো। বুকের ভেতরটা কেমন করে উঠলো, আপনি কি মনে করতে পারেন সেই ছোট্টবেলা থেকে আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবারের মমতাময়ী মা আমাদের মানুষ করার জন্য,শিক্ষিত করার জন্য,ছোট্ট ছোট্ট চাহিদা পূরণ করার জন্য কতটা ত্যাগ স্বীকার করেছে।
আপনার মতামত জানান