রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

দেরি করে ঘুম থেকে ওঠা মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ায় যারা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুক বেশ থাকে। যুক্তরাজ্যের ৪ লাখ ৩৩ হাজার মানুষের ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা যায় সকালে তাড়াতাড়ি ওঠা ব্যক্তিদের চেয়ে রাতজাগা মানুষের অকাল মৃত্যুর আশঙ্কা ১০ শতাংশ বেশি। গবেষণায় দেখা যায় দেরি করে ঘুম থেকে ওঠার কারণে বিভিন্ন মানসিক ও শারীরিক জটিলতার শিকার হতে হয়।রাত জাগার অভ্যাস বলতে রাতের বেলা মােবাইল ও ল্যাপটপের ব্যবহার কমাতে হবে।

বিজ্ঞানীরা এ সংক্রান্ত গবেষণার জন্য হয় ধরণের মানুষকে বেছে নিয়েছেন। যারা। প্রতিদিন নিয়মিত সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে সকালে ওঠেন, যারা মাঝে মাঝে দেরি করে ঘুমান এবং যারা প্রতিরাতে নিয়মিত রাত জাগেন। এই চারটি ক্যাটাগরিতে থাকা অংশগ্রহণকারীদের বয়স ৩৮ থেকে দূত বরের মধ্যে। শরে এই গবেষণাপত্রটি আন্তর্জাতিক ময়েজ জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এ দেখা যায় যে ব্যাজ নিয়ামত সংকলে ঘুম থেকে ওঠেন তার গড় আয়ুরতজাগা ব্যক্তিদের থেকে সাড়ে ছয় বছর বেশি।

আরও পড়ুনঃ কাজু বাদাম খেলে শরীরের কী কী উপকার হয় জেনে নিন !

সঠিক সময়ে ঘুম ও জেগে ওঠার অভ্যাস সুস্থতার প্রতীক। তবে এর সঙ্গে ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ, গে, ওজন, আর্থসামাজিক অবস্থা, খাদ্যাভ্যাস, লাইফস্টাইল ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় জড়িত। এই সবগুলাে বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ হিসেব শেষেই দেখা যায়, সকাল বেলায় যারা ঘুম থেকে ওঠেন, তাদের অকাল মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম। আর যাদের দেহঘড়ি অনিয়মে চলে তাদের এই ঝুঁকি বাড়তেই থাকে। রাত জাগার বদভ্যাস যারা গড়ে তুলেছেন তাদের ৯০ শতাংশ বিভিন্ন মানসিক ব্যাধির শিকার হন। ৩০ শতাংশের থাকে ডায়বেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রােগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।। ঘুমের অভাব শরীরের ওপর কি ধরণের প্রভাব ফেলে।সুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রোনােবায়ােলজি বিভাগের অধ্যাপক ম্যালকম ভনের মতে রাত জাগার এই সমস্যা বর্তমানে জনস্বাস্থ্য সমস্যায় রূপ নিয়েছে, যা এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। এই সমস্যা দূর করতে অর্থাৎ সূর্যোদয় সূর্যাস্তের সঙ্গে দেহঘড়ির সামঞ্জস্য ঘটাতে কি কি পদক্ষেপ নিতে হবে এ বিষয়ে আরাে গভীর গবেষণার প্রয়ােজন বলে জানান তিনি।

নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ক্রিস্টেন নুউসন জানান, অবেলায় খাওয়া দাওয়া, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, ব্যায়াম না করা, রাতে ঘুম থেকে ওঠা বা মাদক সেবন এ ধরণের বদভ্যাসের পেছনে প্রধান কারণ দীর্ঘদিনের মানসিক চাপ। এমন বিভিন্ন অনিয়মের ফলে মানুষের ঘুমের সময় ওলট পালট হয়ে যায় বলে জানান তিনি।তবে রাত জাগার কারণে আপনার শরীর মন পুরােপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে, এমনটাও ভাবার কোন কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করেছেন অধ্যাপক নুউসন।

তিনি জানান, শরীরের ৩০ থেকে ৭০ শতাংশ জৈব প্রক্রিয়া বা দেহ ঘড়ির। পরিচালনা নির্ভর করে জিনের বৈশিষ্টের ওপর। বাকিটা তার বয়স ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কিছু বিষয় আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। আবার কয়েক ক্ষেত্রে ডাইলেই পরিবর্তন আনা সম্ভব। নিজের দেহতকে নিয়মের মধ্যে আনতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ। টিপস দিয়েছেন ঘুম বিশেষজ্ঞরা:

১. আপনার শােবার জায়গাটা এমন হতে হবে যেখানে সূর্যের আলাে সহজেই পোহয় কিন্তু রাতের বেলা অস্ত্র থাকে।

২, প্রতিরাতে একটি নির্দিষ্ট সময়ে বিছানায় যাওয়া এবং সেটা যেন খুব দেরিতে না হয়।

৩. সুস্থ লাইফস্টাইলের জন্য যে অভ্যাসগুলাে গড়ে তোলা প্রয়োজন সেগুলাে আয়ত্বে আনতে নিজের প্রতি কঠোর হওয়া।

ফুমের সময়ের সঙ্গে কেন মহতেই পােষ করা যাবেনা। ৪. দিনের কাজ দিনের মধ্যেই শেষ করে ফেলার ২ কর। ৫. মমানাের সময় মােবাইল ও ল্যাপটপ থেকে বিশেষ করে সামাজিক যােগাযােগ মাধ্যম ব্যবহার থেকে দূরে থাকা।যারা রাতে দেরি করে ঘুমাতে যান এবং সকালে দেরি করে ঘুম থেকে ওঠেন তাদের অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে।

আপনার মতামত জানান

শেয়ার করুনঃ

খুজুন




সর্বাধিক পঠিত

© ২০২০ | নিউজ ইবিডি ২৪ কর্তৃক সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত 
Design BY NewsTheme