রান্নায় ব্যবহারের পাশাপাশি রসুনের অনেক ঔষোধীয় বৈশিষ্ট্য রয়েছে । প্রাচীন কালে রসুন বিভিন্ন রোগের চিকিত্সার জন্য ব্যবহৃত হত ।
রসুনের উপকারিতা:
১) রসুনে অ্যালিসিনা নামক একটি উপাদান রয়েছে যা বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে । যদি আপনি প্রাচীন ইতিহাসের দিকে খেয়াল করেন তবে আপনি জানতে পারবেন রসুন বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হত । গ্রিক‚ রোমান এবং চৈনিক সভ্যতায় ওষুধ হিসেবে রসুনের ব্যবহার নিশ্চিত করা গেছে |
২) রসুন খুব নিউট্রিসাস‚ কিন্তু কম ক্যালোরি রয়েছে এতে :
২৮ গ্রাম রসুনের মধ্যে রয়েছে :
মান্গানেসে : 23% of the RDA.
ভিটামিন B6: 17% of the RDA.
ভিটামিন C: 15% of the RDA.
সেলেনিউম্ : 6% of the RDA.
ফাইবার : 1 gram.
এছাড়াও রসুনের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম‚ কপার‚ পটাশিয়াম‚ ফসফরাস‚ আয়রন এবং ভিটামিনB1 | শুধু কি তাই? রসুনের মধ্যে আমাদের শরীরে যেসব দরকারি উপাদান প্রয়োজন মোটামুটি সবই পাওয়া যায় রসুনে |
৩) রসুনের পরিপূরক বা কাঁচা রসুন খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ফ্লু নিরাময় হয় । কারণ রসুন খাওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায় ।
৪) রক্তচাপ কমাতে: গত কয়েক দশক থেকে দেখা গেছে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোক এর কারণে সারা পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয় | উচ্চ রক্তচাপ হৃদ রোগের মূল কারণ | তবে দেখা গেছে যে, রসুন দিনে চার কোয়া করে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে ।
৫) শরীরে কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখতে : নিয়মিত রসুন খেলে শরীরে কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়|
৬) রসুনে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ‘সেল ক্ষতি’ এবং ‘বার্ধক্য’ দূর করে এটি আলঝাইমার রোগের নিরাময় হিসাবেও কাজ করে ।
৭) দীর্ঘজীবী হতে সহায়তা করে: যেহেতু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাই দীর্ঘস্থায়ী রোগ বেড়ে যায় ফলস্বরূপ, আপনার দীর্ঘায়ু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায় ।
৮) শরীরকে ডিটক্সাইফাই করে: রসুনে উপস্থিত সালফার শরীরের অঙ্গ ক্ষতি এবং সীসা থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।
9) হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে: একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে মহিলাদের হাড়ের শক্তি হ্রাস পায় । যে মহিলারা মেনোপজ হয়ে গেছেন তারাও রসুনের নিয়মিত সেবন থেকে উপকৃত হতে পারেন ।
১০) ত্বকের সংক্রমণের দ্রুত নিরাময় করে: রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল থাকায় এটি ত্বকের সংক্রমণের চিকিত্সায় কার্যকর।
আপনার মতামত জানান