ঢাকা-সাভারগামী ১৭টি বাস আটক জাবি ছাত্রীকে হেনস্তা ঢাকা-সাভা’রগামী মৌমিতা পরিবহ”নের বাসে জাহাঙ্গীর”’নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের’ (জাবি) প্রাণ
রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের ৫১তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে হেনস্তা করার জেরে ওই পরিবহনের ১৭টি বাস আটকে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
লঞ্চের আগুনে : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক !
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসগুলো আটক করা হয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯টা) বাসগুলো আটক ছিল। এর আগে, গত ১৪ই মে সন্ধ্যায় সাভারের” ব্যাংক টাউন থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ওই হেনস্তার ঘটনাটি ঘটে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, ওইদিন সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাভারের ব্যাংক টাউন থেকে টিউশন করিয়ে বাসে করে ক্যাম্পাসে ফিরছিলেন তিনি ভিকটিম ছাত্রী। তখন বাসের সহযোগী (হেল্পার) ভাড়া চাইলে ভাংতি না থাকায় ১০ টাকার স্থলে ১০০ টাকা দেন তিনি। পরবর্তীতে রেডিও কলোনি এলাকায় পৌঁছালে ওই সহযোগী বাস আর সামনে যাবে না বলে যাত্রীদের জানান। সেসময় বাকি টাকা ফেরত চাইলে বাসের ওই সহযোগী ভুক্তভোগীকে কটূক্তি করে ও পুনরায় ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে। এছাড়া, ওই সময় বাসের চালক-সহযোগী বাজেভাবে ইঙ্গিতের মাধ্যমে হেনস্তা করে বলে জানান ”ভুক্তভোগী”। এ ঘটনায় জড়িত”’দের যথাযথ শাস্তির” দাবিতে বাসগুলো আটক করা হয়েছে বলে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
এদিকে, ”’হেনস্তার ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া” পর্যন্ত আটক বাসগুলো ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছেন” ভুক্তভোগী ছাত্রীরসহপাঠীরা।
তবে আটককৃত বাসের একাধিক চালক অভিযোগ, ঘটনার সাথে আমরা কেউ জড়িত ছিলাম না। অথচ, বাস আটকানোর সময় আমাদেরকে মারধর করা হয় ও আমাদের মোবাইল জোর করে নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। পরে ১ ঘণ্টা পরে মোবাইল ফেরত দেয়।
এ বিষয়ে মৌমিতা পরিবহনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের চেকার রাজু হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অনুযায়ী আমাদের পরিবহনের একজন হেল্পার এক ছাত্রীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করেছে। কিন্তু আমরা এখনো তাকে চিহ্নিত করতে পারিনি। তাকে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সামনে হাজির না করলে তারা বাস ছাড়বে না বলে জানিয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৭টি বাস জাহাঙ্গীর নগরের ওখানে আটক আছে।
এ ঘটনায় ইতোমধ্যে সাভার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন জাবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন।
সার্বিক বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ আলমগীর কবির বলেন, বাস কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ওই বাসের হেল্পার ও চালককে শনাক্ত করে আমাদের জানাতে বলেছি। পাশাপাশি, পুলিশও অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে
আপনার মতামত জানান