বন্যাদুর্গত সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার অসহায় বানভাসি মানুষের পাশে বিজিবি সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলায় আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বানভাসি মানুষদের উদ্ধার, বিভিন্ন ত্রাণসামগ্রী বিতরণ ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে বিজিবি। আজ বিজিবির সিলেট ব্যাটালিয়ন (৪৮ বিজিবি)-এর তত্বাবধানে অত্যন্ত দুর্গম ডিবির হাওর এলাকায় ২৫০টি পরিবার (১০০০ জন) এবং প্রতাপপুর এলাকার ৭০টি পরিবার (২৮০ জন)-এর মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এসময় বিজিবির সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে সুনামগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (২৮ বিজিবি)-এর তত্বাবধানে সুনামগঞ্জ জেলার বন্যাদুর্গত দুর্গম সীমান্তে ১২৫ টি বানভাসি পরিবারকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়াসহ ২৫০টি পরিবার (১০০০ জন)-এর মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়াও জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি) এর তত্ত্বাবধায়নে সিলেট জেলা শহরের টুকের বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৯৫৯ জন দুস্থ ও অসহায় জনসাধারণকে বিজিবির একটি চিকিৎসক দল কর্তৃক বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং ঔষধ বিতরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বন্যা শুরু হওয়ার পর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সীমান্তবর্তী বন্যা পীড়িত অসহায় প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিজিবি। সিলেট ও সুনামগঞ্জ ছাড়াও লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, শেরপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা সহ বন্যাকবলিত বিভিন্ন স্থানে বিজিবি বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করে যাচ্ছে।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি, ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি আজ রবিবার সিলেটের বিভিন্ন বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে সেনাবাহিনী প্রধান কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক ও নিকটবর্তী বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন এবং বন্যা কবলিত মানুষদের সাথে কথা বলেন।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যদের নিরলসভাবে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রাখা, জরুরি ত্রাণকার্য পরিচালনা, চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বাত্মকভাবে আত্মত্যাগের মাধ্যমে সহায়তার নির্দেশনা প্রদান করেন। সেনাবাহিনী প্রধান উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমরা সবাই মিলে যদি সম্মিলিতভাবে কাজ করি এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে পারব। তাই সেনা সদস্যদের সর্বাত্মকভাবে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।
আপনার মতামত জানান